সিলেটের শাহপরানে আহবাব হোসেন নামের এক তরুণ তার সৎ মা ও ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টাকালে ঘাতককে ছোরাসহ আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট মহানগরের শাহপরান থানাধীন খাদিমপাড়া এলাকার মীর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহবাব একটি কক্ষ বন্ধ করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসী তাকে উদ্ধারের পর আটক করে।
নিহতরা হলেন- রুবিয়া বেগম (৩০) এবং তার মেয়ে মাহা (৯)। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন রুবিয়ার ছেলে তাহসান (৭)।
স্ত্রী আর দুই সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ ব্যবসায়ী আবদাল হোসেন খান বুলবুল। একসময় দুবাই কাজ করতেন বুলবুল। তার প্রথম স্ত্রী, এক মেয়ে ও ঘাতক পুত্র আহবাব হোসেন সিলেটের বিয়ানীবাজারে থাকতেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সিলেটে থাকতেন বুলবুল। ৪/৫ মাস আগে আহবাব সিলেটে আসে বলে জানান তিনি।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুহেল রেজা, শাহপরান থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার ময়নুল আফসারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুহেল রেজা জানান, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সৎ মায়ের সাথে ঘাতক আবাদের ভালো সম্পর্ক ছিলো না।
এ কারণে মনের ক্ষোভ থেকেই এই হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। পরে তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে আসল ঘটনা জানা যাবে।
শুভ মাহফুজ
