আর্কাইভ থেকে অপরাধ

সাত বছর অস্ত্র ব্যবসা করেন ছাত্রলীগ নেতা!

সাত বছর অস্ত্র ব্যবসা করেন ছাত্রলীগ নেতা!

ভারতীয় অস্ত্র চোরাকারবারিদের বলা হয় মহাজন। এমন অন্তত ৪ জন মহাজনের কাছ থেকে অস্ত্র কেনে বাংলাদেশের কয়েকজন চোরাকারবারি। বিশেষ কায়দায় অস্ত্রের চালান আসে দেশে। আর এ কাজে ব্যবহার করা হয় দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার ক্ষেতখামারে কাজ করা শ্রমিকদের। বিনিময়ে তারা পায় কমিশন। রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার ৫ অস্ত্র ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের এমন তথ্য পাওয়ার দাবি গোয়েন্দাদের। পুলিশ বলছে, তালিকা তৈরি হচ্ছে ক্রেতাদের।

বাংলাদেশের একজন অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলছে ভারতের এক অস্ত্র ব্যবসায়ী, যাদের মহাজন বলা হয়। তার মতো এমন অন্তত ৪ জন মহাজনের কাছ থেকে নিয়মিত অস্ত্র কিনে দেশের চোরাকারবারিরা।

সম্প্রতি রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে ৫ জন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভারত-বাংলাদেশের অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। কোনো আগ্নেয়াস্ত্র অর্ডারের পর টাকা পরিশোধ করা হয় কয়েকটি নির্দিষ্ট মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। টাকা বুঝে পেয়ে পশ্চিমবঙ্গের মহাজনরা বিশেষ কায়দায় পলিথিনে মুড়িয়ে অস্ত্রের চালান দেয় সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষি শ্রমিকদের কাছে।
 
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে তারা চালান বুঝিয়ে দেয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্তবর্তী এলাকার শ্রমিকদের কাছে। এই দুই দেশের শ্রমিকরা কমিশনের বিনিময়ে অস্ত্র চোরাকারবারিদের হয়ে কাজ করে।
 
এ প্রসঙ্গে গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, দুই দেশের শ্রমিকরাই মূলত এই কাজের সঙ্গে জড়িত। তারা কাজের পাশাপাশি স্মাগলিংয়ের সঙ্গে জড়িত।
 
গ্রেপ্তার ৫ অস্ত্র কারবারির প্রধান আকুল হোসাইন যশোরের শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত সাত বছরে অন্তত ২০০ অস্ত্র সে বিক্রির তথ্য দিয়েছে পুলিশকে। গোয়েন্দার বলছে, কারা ক্রয় করেছে সেসব অস্ত্র তার তালিকা হচ্ছে।
 
মশিউর রহমান আরও বলেন, ২০১৪ সাল থেকে অল্প অল্প করে সে অস্ত্র বিক্রি করে বলে আমাদের জানিয়েছে। অস্ত্রগুলো কাদের কাছে বিক্রি করেছে সে তালিকাও আমরা প্রস্তুত করছি।
 
ভূমিদস্যু, ছিনতাইকারী, মাদক চোরাকারবারিদের কাছেও অস্ত্র বিক্রির তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

মুক্তা মাহমুদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সাত | বছর | অস্ত্র | ব্যবসা | করেন | ছাত্রলীগ | নেতা