গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পরিসংখ্যান কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলায় এপিপি মিজানুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা বেগমসহ ১০জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
বুধবার (৮সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এই আদেশ প্রদান করেন।
গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালত সূত্রে জানা যায়, চৌকি আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, মোহাম্মদ আলী সরকার, মোখলেছুর রহমান, মন্নু মিয়া, মুনমুন বেগম, নিজাম উদ্দিন, দোলেনা বেগম, নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ, তোজাম্মেল হক বুধবার দুপুরে আদালতে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।
অভিযোগ জানা গেছে, ২০১৯ সালে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে অবৈধভাবে ধরমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে মনোয়ারা বেগমকে নিয়োগের জন্য তারা সহায়তা করে। এ ঘটনায় উপজেলার সিংগা গ্রামের মৃত শামছুল রহমানের ছেলে খাইরুল বারী অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গাইবান্ধার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেমন (পিবিআই) এর উপপরিদর্শক শাহ্ আলম দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।ৎ
উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পরিতোষ শর্মাকে ধরমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের প্রিজাইটিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগমের অসহযোগিতায় কারণে তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। পরে তাঁর স্বাক্ষর জাল করা হয়।
মুনিয়া