দেশের চিনির বাজারে নৈরাজ্য থামছে না। এক মাসের মধ্যে কেজি প্রতি ১২ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চিনির দাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, গুটি কয়েক আমদানিকারক বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় সরকারের উদ্যোগ ব্যার্থ হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম উর্ধ্বমুখী এমন অজুহাতে গেল এক মাসের বেশি সময় ধরেই বাড়ানো হচ্ছে চিনির দাম। গত এক মাসে কেজি প্রতি ১২ টাকা বেড়েছে ইগলু ব্র্যান্ডের চিনির দাম। ১৪ টাকা বেড়েছে ফ্রেশ ব্র্যান্ডের চিনির দাম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। আর দেশীয় চিনি ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রথমবারের মতো চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে খোলা চিনি ৭৪ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ৭৫ টাকা কেজি দাম নির্ধারণ করা হয়। তবে সরকারী এই নির্দেশনা মানছেনা বিক্রেতারা।
পাইকারী ব্যবসায়ীদের দাবি, মিল গেটেই চিনির দাম বেশি । কনজুম্যার এসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ, ক্যাব সহসভাপতি এস এম নাজের হোসেন মনে করেন, দেশের চিনির বাজার কয়েকজন আমদানিকারকের কাছে জিম্মি।
চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানি বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারের কঠোর নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।