২০১২ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হয়েছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মনোনয়নে। এরপর ২০১২ ও ২০১৭ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়। অক্টোবরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন বিসিবি নির্বাচনে তাই নতুনদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন।
তবে দেশের সবথেকে শক্তিশালী এই ক্রীড়া বোর্ডের সর্বোচ্চ আসনের প্রতি অন্যদের আগ্রহ না থাকায় হতাশ পাপন। বরং আসন্ন নির্বাচনে এই পদে অন্যরা লড়লে বরং খুশীই হবেন তিনি। আজ মঙ্গলবার বর্তমান বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া সর্বশেষ সভা শেষে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
পাপন বলেন, ‘সভাপতি পদের কথা বললে আর কেউ নাম বলে না। কেন বলে না আমি জানি না। আমি বলছি না আমি সফল হবো কিন্তু আমি চেষ্টা করব এবং চাইবো যে নতুন কেউ আসুক। নতুন কেউ আসলে খুশি হবো। আমি পুরোপুরি সমর্থন দেব, কোন অসুবিধা নেই।’
সভাপতি পদে অন্যদের অনীহা ক্রিকেট বোর্ডের জন্য ভালো দিক না বলেও উল্লেখ করেছেন পাপন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই আমার বোর্ডে যারাই আসুক তারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুক যে ‘আমি সভাপতি হতে চাই’। অন্তত বলুক, এখন তো কেউ বলেও না। এটা ভালো দিক না।’
বাংলাদেশে লিডারশিপের অভাব না থাকার পরেও কেন এই পদ চ্যালেঞ্জহীন তা নিয়ে হতাশ পাপন। বিসিবির পরিচালক পদে আগ্রহী প্রার্থীর অভাব না থাকলেও সভাপতির পদের বেলাতেই কেন এমন শূন্যতা- সেই প্রশ্নও পাপনের।
তিনি বলেন ‘কারও জন্য কিছু আটকে থাকে না। আমাদের একটা পাইপলাইন থাকা উচিত নতুন নতুন যারা দায়িত্ব নেবে। এটার জন্য আমি চাচ্ছি লিডারশিপ তৈরি করা উচিত। বাংলাদেশে লিডারশিপের অভাব নেই। কি কারণে যেন কেউ আসতে চায় না। সবাই পরিচালক হতে চায়। এমন কেউ নেই যে পরিচালক হতে চায় না।’
এস