বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর আড়ালে ওত পেতে আছে চোর। যাদের টার্গেট স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা। এমনটাই বলছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।
তিনি বলছেন, সুযোগ পেলেই মূল্যবান সম্পদ নিয়ে সটকে পড়ছে কেউ কেউ। সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে আত্মগোপনে চলে যায় এক গৃহকর্মী। এক মাস খোঁজাখুঁজির পর চোরাই স্বর্ণসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
সিসি ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে, ২০ ভরি স্বর্ণালংকার শরীরের মধ্যে লুকিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে গৃহকর্মী। রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বাসা থেকে আগস্টের ২০ তারিখে ক্যামারায় তার পালিয়ে যাওয়া ধরা পরে।
দীর্ঘসময় কাজের লোককে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন বাড়ির মালিক। আলমারির দরজা খোলা দেখে সন্দেহ হয় তার। ২০ ভরি স্বর্ণালংকার উধাও।
ভুক্তভোগী পরিবারের কর্তা বলেন, গহনাগুলো এক একটি বক্সে ভাগ ভাগ করে রাখা ছিল, বক্স না নিয়ে কাপড়ে পেঁচিয়ে গহনাগুলো নিয়ে যায় সে।
এক মাসের চেষ্টায় রাজধানীর মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গৃহকর্মী শম্পাকে। অক্ষত অবস্থায় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় চুরি হওয়া ২০ ভরি স্বর্ণাংকার। পুলিশ বলছে, চুরির পর গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল স্বপ্না। খরচ চালাতে কিছু গহনা বন্ধক রাখে। কিন্তু কোনো গহনাই বিক্রি করেনি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (রমনা বিভাগ) এইচ এম আজিমুল হক বলেন, আসলে লোভে পড়ে মেয়েটি চুরি করেছে। মালিকের কাছে যে স্বর্ণগুলো ফেরত দেবে সে সাহস হয়তো তার ছিল না। আর যদি সে খুব বেশি পেশাদারি হতো তাহলে সে এক মাসের মধ্যে স্বর্ণগুলো অন্য জায়গাতে সরিয়ে ফেলত বা বিক্রি করে দিত।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, আমরা যখন বাসাবাড়িতে কাজের মেয়ে নিয়োগ দেই, তখন কিন্তু তার পরিপূর্ণ ঠিকানা রাখি না। মহানগরে যারা বসবাস করেন তাদের ডাটাবেস আছে, সেখানে একটি জায়গাতে কাজের মানুষের কথাও লেখাও আছে। কিন্তু বেশির ভাগ জায়গাতে সেগুলো পাওয়া যায় না। সেটা থাকলে ভালো হয়। সবাইকে সাবধান হতে বললেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। রাজধানীতে বাসাবাড়িতে চুরির সঙ্গে গৃহকর্মীদের জড়িত থাকার আরও কয়েকটি ঘটনাও প্রায়ই ঘটে থাকে।
মুক্তা মাহমুদ