ফরিদপুরে তিন সন্তানের এক জননীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে ওই গৃহবধূর মরদেহ টয়লেটের ট্যাংকির মধ্যে ফেলে যায় তারা।
বৃহস্পতিবার বিকালে বোয়ালমারী পৌরসভার আঁধারকোঠা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই বাড়িতে গৃহবধূ একাই থাকতেন।
নিহত গৃহবধূর নাম নিলুফা ইয়াসমিন। তার স্বামী সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন সেনাসদস্য ছিলেন। তিনিও গত বছর মারা যান।
জানা গেছে, নিলুফা ইয়াসমিনের এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। মেয়ে প্রিয়াংকার বিয়ে হয়েছে পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গায়। তার দুই ছেলে ইমরান ও অন্তর জাহাজে চাকরি করেন।
দুপুরের পর নিহতের মা তাকে ফোনে না পেয়ে তার বাড়িতে আসেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিলুফার গলাকাটা লাশ বাড়ির পেছনের দিকে টয়লেটের ট্যাংকির মধ্যে ডুবে থাকাবস্থায় দেখতে পান।
পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।