বড় পর্দা ছেড়ে এ বার মুঠোফোনের গণ্ডিতে এসেছেন টালিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ওয়েব সিরিজে অভিষেক করছেন এ নায়িকা।
বুধবার (৮ মার্চ) মুক্তি পাবে তার অভিনীত প্রথম সিরিজ ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’। সিরিজটি মু্ক্তির আগে আনন্দবাজার অনলাইনে সাক্ষাৎকার দেন তিনি।
শুভশ্রী বলেন, বড় পর্দায় পর পর কাজের পাশাপাশি ‘ইন্দুবালা’র মতো চরিত্রের মাধ্যমে ওটিটি-তে অভিষেক। ব্যক্তিগত জীবনের চাকাও সমান গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই ভাবেই নিজের জীবনটাকে দেখতে চেয়েছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, পেশাদার জীবনের ক্ষেত্রে সবটাই ভগবানের দান। ঈশ্বরের কাছে নিজের কাজের জন্য কখনও কিছু চাননি। কখনও ঈশ্বরের কাছে এমন প্রার্থনা করি না যে আমি বিশাল বড় বড় কাজ করতে চাই। জাতীয় পুরস্কার পেতে চাই। যেটুকু সাফল্য পেয়েছি পুরোটাই ভগবানের দেখিয়ে দেয়া পথ।
রাজ পত্নী বলেন, পুরস্কার ও পারিশ্রমিক দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। ‘রিওয়ার্ড’ অর্থাৎ পারিশ্রমিক না থাকলে তো আমাদের পেট চলবে না। এটা আমাদের জীবিকা। তবে পুরস্কার প্রেরণা জোগায় আগামী দিনে ভাল কাজ করার জন্য। আমি বলব ‘অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘রিওয়ার্ড’ এরা দুই যমজ।
তিনি বলেন, ‘ইন্দুবালা’ চরিত্রটা যদি আমি ছেড়ে দিতাম, তা হলে আমার থেকে বোকা কেউ হত না। এমন চরিত্রই আমি করতে চাই। যা সারা জীবন আমার সঙ্গে থেকে যাবে। শিল্পী হিসাবে আমায় তৃপ্তি দিয়েছে, ইন্দুবালা।
শুভশ্রী আরও বলেন, শুধু ইতিবাচক নয়, নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াও সমান মান্যতা পাবে। সবার মানসিকতা এক হতে পারে না। সবার পছন্দ হবে, তা তো নয়। সবটাই মাথা পেতে নেব।
অভিনেত্রী বলেন, ৭৫ বছরের লুক সেট করে আমি প্রথম ভিডিও কল করি আমার ছেলে ইউভানকে। দু’সেকেণ্ডও সময় নেয়নি। আর এখন তো সিরিজের ট্রেলারও দেখে ফেলেছে। বলে, ‘মাম্মাজি আগে দুর্গা সাজিলি, এখন ঠাম্মা সাজিলি’।
তিনি আরও বলেন, নিজেকে ছাড়া এই চরিত্রে আমি আর অন্য কোনও অভিনেত্রীকেই ভাবতে পারছি না এই মুহূর্তে। কারণ আমার পরিচালকও আমায় এটাই বলেছিলেন যে, এই চরিত্রে তোমায় ছাড়া আর কাউকে ভাবতে পারছি না। ইন্দুবালা শুধু আমিই।
শুভশ্রী বলেন, আগে অনেকেরই ধারণা ছিল তো শুভশ্রী অভিনয় পারে না, তাই সুযোগও দেয়নি। মানুষের ধারণা ভাঙার জন্য আমি কাজ করতে পারব না। মানুষকে একটু সাহস দেখাতে হবে, যে সাহসটা রাজ চক্রবর্তী দেখিয়েছিল, এই মেয়েটা অভিনয় পারে। ‘পাঠান’-এ দীপিকার মতো চরিত্রের জন্য আমায় যদি কেউ বলে, নিশ্চয়ই করব। আমার চরিত্রের গভীরতা কতটা সেটা তো জানা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আমি একটা প্রেমের ছবি করতে চাই। রগরগে প্রেমের গল্প। অনেকটা ‘কবীর সিংহ’-এর মতো প্রেমের গল্প।