করোনায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে । তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গেলো ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও রয়েছে ৯০ হাজারের ওপরেই।
আজ শুক্রবার (৩ মার্চ) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
এদিকে গেলো ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া ও তাইওয়ান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৩ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৮ লাখ ২ হাজার।
গেলো ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫২৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৮ লাখ ২ হাজার ৬৩৬ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ৯৩৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় শনাক্তের সংখ্যা কমেছে প্রায় চারশো। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫৮৮ জনে।
এদিকে গেলো ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে তাইওয়ানে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় এই ভূখণ্ডটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ১০৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ভূখণ্ডটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৬৯ হাজার ৫৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৮ হাজার ১০ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গেলো ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৫০০ জন এবং মারা গেছেন ১৩০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৫৩ লাখ ৭৫ হাজার ৩৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৭ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।