নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জে একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার সুইং সেকশনর একটি ফ্লোরে বিস্ফোরণ হয়। এতে অগ্নিকাণ্ডেরও ঘটনা ঘটেছে। কারখানার ভবনের ৭ তলা ফ্লোরটি সুইং সেকশন। ওই ফ্লোরটি দরজার জানালা বন্ধ থাকায় সেখানে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। আর ওই গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি।
শুক্রবার (৩ মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার বরপা এলাকায় অবস্থিত অন্তিম নিটিং ডাইং এন্ড ফিনিশিং লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে করে ওই কারখানার আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ছুটির দিন হওয়ায় এবং শ্রমিকরা ছুটিতে থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিস্ফোরণে ওই কারখানার একটি দেয়াল ভেঙ্গে রাস্তার ওপর গিয়ে পড়ে। এতে কিছু সময়ের জন্য যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, কারখানাটিতে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আগুন লেগেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। বিস্ফোরণের ফলে ৭তলা ফ্লোরের পাকা দেওয়াল ভেঙে উড়ে যায়। বিস্ফোরণের বিকট শব্দের কারণে কারখানার নিচতলা মেইন গেইটের পাকা দেওয়াল ও গেইট ভেঙে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ওপরে পড়ে যায়। দ্রুত আগুন নেভানোর কারণে বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
তিনি আরও জানান, আধঘণ্টার মধ্যে আগুন নেভানো হয়। বিস্ফোরণে থেকে আগুনের সৃষ্ঠ হলেও বিস্ফোরণের কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কারখানার শ্রমিক আলামিন, ইয়াসমিন, মনির হোসেন, কামাল মিয়াসহ আরও কয়েকজন জানায়, অন্তিম নিটিং এন্ড ফিনিশিং লিমিটেড কারখানায় প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন।
কারখানাটির (এইচ আর) এডমিন মাহবুবুর রহমান বলেন, কারখানার ৭তলা ফ্লোরটি সুইং সেকশন। ওই ফ্লোরটির দরজার জানালা বন্ধ ছিল। কারখানার সুইং শাখায় রুম বন্ধ থাকায় গ্যাস জমাট বেঁধে ওই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। কারখানায় শ্রমিক না থাকায় কোন প্রকার হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরির্দশক শরফুউদ্দিন জানান, বিস্ফোরণের পর কারখানার দেয়াল এসে রাস্তায় পড়ায় যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তার ওপর স্থানীয়রা মানুষরা গিয়ে ভীড় করায় কিছু সময়ের জন্য যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত গিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।