ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (আইসিটি অ্যাক্ট) করার পরে, অনেক মিস ইউজ এবং অ্যাবিউজ দেখেছি। সত্যকে অস্বীকার করব না, এটা স্বীকার করতেও দ্বিধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (৬ মার্চ) রাজধানীতে আয়োজিত ‘শেপিং অব থার্ড সেক্টর-ল অ্যান্ড পলিসিস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, কারও বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি। ব্যাপারটা দুঃখজনক হলেও সত্য, এই আইনটা অপব্যবহার হওয়ার যথেষ্ট প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আইসিটি আইনে অনেকেই মামলা করেন, আসামিকে কিছুদিনের জন্য যেন জেল খাটানোর জন্য। এই রকম একটা প্রবণতার কারণে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে, প্রথমেই যেটা করলাম সেটা হলো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যদি এ আইনে মামলা করতে চায়, সঙ্গে সঙ্গে মামলাটা যেন গ্রহণ করা না হয়, গ্রহণ না করে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অন্য সেলে পাঠানো হয়। অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করবেন সাংবাদিক কেন সকলে না কেন? সাংবাদিক প্রথমে ছিল এই কারণে যে, এই আইনের উদ্দেশ্য যে বাক স্বাধীনতা হরণ করার জন্য নয়, সেটাকে এস্টাবলিস্ট করা। সেই মেসেজটা পুলিশের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সেটা আমি মনে করি সাকসেসফুল হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রথমত কারও বিরুদ্ধে এই মামলা গ্রহণ করা হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত এই মামলার জন্য গঠিত সেল সত্যি সত্যিই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই মামলা বিবেচনার জন্য গ্রহণ না করা হবে।
উপস্থিত সকলকে আশ্বস্ত করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সব আইনে কিছু কিছু সিস্টেমিক প্রবলেম আছে। কিছু কিছু আইনে ইমপ্লিমেন্টেশনে প্রবলেম আছে। এ কারণে আজকেও আমি বলি, এই আইনটা নিয়ে বসব, যদি রুলসের পরিবর্তন করে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারি, অবশ্যই আমরা সে দিকে যাব।
তবে ঢালাওভাবে আইনটা বাতিল করে দেওয়া বলা যুক্তিসঙ্গত নয় বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।