দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে এক শিক্ষিকাকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় আসামিরা শিক্ষিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- উপজেলার সুলতানপুর আবাসনের নুর ইসলামের ছেলে মামুনুর রশিদ (২৬) ও সেনিহারী গ্রামের সাহিজ উদ্দিনের ছেলে সুজন আলী (২৫)।
বোচাগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, শিক্ষিকার দায়ের করা মামলায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে আসামিরা ওই শিক্ষিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে ধর্ষণের কথা তারা স্বীকার করেনি, এখন মেডিকেল রিপোর্ট আসলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ অক্টোবর সোমবার একটি শিশু একাডেমির শিক্ষিকা পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ওই দুইজন পথরোধ করে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। একটি আখ ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে এলাকাবাসী ওই দুইজনকে আটক করে বোচাগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাদের আটক করে। এই ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদি হয়ে ২ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৭)। ওই মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহবুবুর রহমান সরকার জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে।
