সঠিক সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা গেলে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। বললেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) তিনি জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০২৩ উপলক্ষে এক বাণীতে এ কথা বলেন।
‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়, দুর্যোগ প্রস্তুতি সবসময়’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে।
আবদুল হামিদ বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছরই বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ে থাকে। প্রায় সারা বছরই বাংলাদেশকে কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সঠিক সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা গেলে এসব দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের নীতি-পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কৌশল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সকল ধরণের দুর্যোগের প্রস্তুতিতে সরকার বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার দুর্যোগ প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রামীণ রাস্তায় সেতু/কালভার্ট নির্মাণ, গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ডকরণ, মুজিবকিল্লা নির্মাণ, উপকূলীয় এলাকায় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগকালে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ফলে দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘আমাদের সক্ষমতা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবদুল হামিদ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। দুর্যোগ মোকাবিলায়ও স্মার্ট পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি। দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ও প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, ঝুঁকি বিশ্লেষণ ও চিহ্নিতকরণ, ঝুঁকিহ্রাস কৌশল নির্ধারণ, বিপদাপন্নতা হ্রাসসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এছাড়া, সরকারের সকল ডিজিটাল সেবাকে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডে নিয়ে আসা এবং প্রান্তিক পর্যায়ের ডিজিটাল লিডারশিপ তৈরিও অত্যন্ত জরুরি।
রাষ্ট্রপতি আশা করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যথাযথ পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
তিনি ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।