আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

তদন্ত কমিটি সহ ১১টি দাবী জানিয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

তদন্ত কমিটি সহ ১১টি দাবী জানিয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী, কুমিল্লা, রংপুরসহ সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা’র ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠনসহ ১১টি দাবী জানিয়েছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতারা। অন্যান্য দাবীগুলো হলো, সংখ্যালঘূ মন্ত্রণালয় গঠন, সংখ্যালঘূ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদের ২০ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ, নিহতের পরিবারের সদস্যদের একজনকে সরকারী চাকুরী প্রদান, ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির সংস্কার করা, ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করাসহ আরো কয়েকটি দাবী।

এর আগে সারাদেশে মন্দির ও হিন্দুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার (২৩ অক্টোবর) ভোর ছয়টা থেকে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়। সেখানে  অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কর্মসূচী পালন করা হয়।

গণ অনশনে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা
গণ অনশনে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা

সেখানে সংহতি প্রকাশের জন্য সকাল ৭টার দিকে উপস্থিত হন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, নেতা হাসানুল হক ইনু। তিনি সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ও নিন্দা  জানিয়ে  বলেন, এই আক্রমণ ছিল পরিকল্পিত। যারা এই আক্রমণ চালিয়েছে, তারা ধর্মান্ধ, জঙ্গি, সন্ত্রাসী।

ইনু বলেন,যারা আক্রমণ পরিচালনা করে তারা পাকিস্তান পন্থায় বিশ্বাস করে। তারা বিএনপি,জামায়াতে ইসলামী এবং একাত্তরের রাজাকারদের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি অভিযোগ করেন,বিএনপি রাজাকার,যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মান্ধদের ছাতা ধারাবাহিকভাবে ধরে রেখেছে।একারনে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। 

এধরনের ‘সাম্প্রদায়িক হামলা’র পুনরাবৃত্তি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইনু আরো বলেন, প্রশাসনের একটি অংশ হামলা ঠেকাতে না পারার জন্য দায়ী । এই হামলা ঠেকাতে কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতা আছে, কিছু ক্ষেত্রে অদক্ষতা আছে, গাফেলতি আছে। এই ধরনের হামলা ঠেকাতে সাম্প্রদায়িক জঙ্গি গোষ্ঠীকে আর ছাড় দেওয়া যায় না।’

গণ অনশনে সংহতি জানাতে উপস্থিত জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু
গণ অনশনে সংহতি জানাতে উপস্থিত জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু

গণঅবস্থানে উপস্থিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, হিন্দুদের উপর হামলা চালানোর উদ্দেশ্যেই কোরআনকে তাদের মন্দিরে রেখে আসা হয়। এই ঘটনা শুধু প্রতিবাদ করলে হবে না, প্রতিরোধও গড়ে তুলতে হবে।

সেখানে সংহতি জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন,বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন,বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম,অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট,বাংলাদেশ মতুয়া মহাসংঘ,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতি,জন্মাষ্টমী উদ্‌যাপন পরিষদ, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি,বাংলাদেশ মাইনরিটি সংগ্রাম পরিষদ,বাংলাদেশ হিন্দু লীগ,মাইনরিটি রাইটস ফোরামের নেতারা।

গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিক। পরে মিছিল করে অনশন কর্মসূচী সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন তদন্ত | কমিটি | সহ | ১১টি | দাবী | জানিয়েছে | হিন্দুবৌদ্ধখ্রিস্টান | ঐক্য | পরিষদ