আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কুমিল্লা ইস্যুতে ৭ দিনের রিমান্ডে ইকবাল

কুমিল্লা ইস্যুতে ৭ দিনের রিমান্ডে ইকবাল

কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবালকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সংগে তার তিন সহযোগীরও সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড শুনানি শেষে দুপুর ১টায় তাদের আদালত ভবন থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। যে গাড়িতে করে তাদের নেয়া হয় তা ছিলো কালো। 

সকাল বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তাদের চারজনকে আদালতে তোলা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে যে কোন অপ্রতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়ন করা হয়।  জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। 

শুনানি শেষে কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ জানান, ধর্ম অবমাননার মামলায় ইকবালসহ চারজনকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে হাজির করা হয় তাদের। এসময় পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চায়। তবে তাদের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ মামলায় এখন পর্যন্ত চারজন আসামি বলে জানান তিনি। 

আসামি চারজন হলেন, ইকবাল হোসেন, আশিকুর রহমান ফয়সাল, হুমায়ুন ও ইকরাম।

এম তানভীর আহমেদ আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছেন। কুমিল্লায় অশান্ত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে সে প্রথমে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকায় যায়। সেখান থেকে ট্রেনে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। চট্টগ্রাম গিয়ে ট্রেন থেকে নেমে কিছু পথ হেটে, কিছু পথ বিভিন্ন পরিবহনে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে পৌঁছান।

ইকবালের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা রিমান্ড শেষে এ বিষয়ে পরিষ্কার জানা যাবে। 

এর আগে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) কক্সবাজার থেকে কুমিল্লায় এনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে ইকবালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা।

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের  সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে আটক করে পুলিশ। 
শুক্রবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে আনা হয়।

প্রসঙ্গক্রমে, ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ৯ মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মুক্তা মাহমুদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কুমিল্লা | ইস্যুতে | ৭ | দিনের | রিমান্ডে | ইকবাল