মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা পৃথক দুটি রিটের শুনানির জন্য বুধবার (১৫ মার্চ) সময় নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) হাইকর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিট দুটির শুনানির জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন।
আদালতে আজ একটি রিটের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খান। আরেকটি রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মোমেন চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন।
মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। এর আগে গত রোববার (১২ মার্চ) এ রিটটি হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য এলে শুনানিতে বিব্রত বোধ করেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল।
তখন বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, প্রায় পাঁচ বছর তিনি দুদকের আইনজীবী ছিলেন। তাই বিষয়টি শুনতে বিব্রত বোধ করছেন। এরপর বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি শুনানি না করে প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দেয়ার আদেশ দেন। পরবর্তীতে রিটটি বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী পৃথক আরেকটি রিট করেন।
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি দাবি করে গেলো ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। সে লিগ্যাল নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার ধারাবাহিকতায় রিটটি করা হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ২৩ এপ্রিল বর্তমান প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হলে মো. সাহাবুদ্দিন তার স্থলাভিষিক্ত হবেন। শপথগ্রহণের পর থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য এ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।