রংপুরের পীরগঞ্জে জেলে পল্লীতে হামলার ঘটনায় শিবির নেতা মামুন মন্ডল এবং এলাকার এক ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ি ঘরে হামলা ও আগুনের মামলায় গ্রেফতার ১৩ জনকে তিনদিন করে রিমান্ডে নেয়ার আদেশি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরেস চন্দ্র জানান, ভোরে গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুর থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর পীরগঞ্জের রামনাথপুর থেকে ওমর ফারুক নামে ওই ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিবিরকর্মী মামুন ঘটনার রাতে নিজে পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন ধরায়।
জেলার পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, মামুন ২০১২ সাল থেকে সাদুল্লাহপুরে শিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরে মালয়েশিয়ায় চলে যান। কিছুদিন পর আবারো দেশে ফিরে আসেন। ওমর ফারুক পীরগঞ্জ দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ডের মসজিদে ইমামতি করেন।
মাঝিপাড়ায় সহিংসতার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুট-পাটের ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রংপুর কারমাইকেল কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি সৈকত মণ্ডলও রয়েছেন। ফেসবুকে ‘উসকানিমূলক’ পোস্ট দেয়ার অভিযোগে গত ১৮ অক্টোবর তাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ইতোমধ্যে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।
এদিকে কুমিল্লায় গেল রাতে ইকবালকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে দারোগা বাড়ি মাজার সংলগ্ন জঙ্গল থেকে হনুমানের গদা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানকার মন্দিরে পবিত্র কোরআন অবমাননার মামলা তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ যেন গ্রেপ্তার বাণিজ্যে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন, সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। কুমিল্লা টাউন হল মুক্তিযোদ্ধা কর্ণারে আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান।
অন্যদিকে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলায় জড়িত অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় সবমিলিয়ে ১৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
