আর্কাইভ থেকে তথ্য-প্রযুক্তি

ফেসবুকের কোম্পানির নতুন নাম ‘মেটা’

ফেসবুকের কোম্পানির নতুন নাম ‘মেটা’

নাম পরিবর্তন করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানি ফেসবুক। নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মেটা’। ‘মেটাভার্স’ নির্মাণ চেষ্টার অংশ হিসেবে রিব্রান্ডিং এর জন্য এই পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে ‘মেটা’ নামে ব্যবসায়িক সব কার্যক্রম পরিচালনা করবে কোম্পানিটি। ‘মেটা’র অধীনে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারসহ প্রতিষ্ঠানটির সব সেবা থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) ফেসবুকের বার্ষিক সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মার্ক জুকারবার্গ এ ঘোষণা দেন।

কয়েকদিন আগেই গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ফেসবুক দায়িত্বশীলভাবে ‘মেটাভার্স’ গড়তে পাঁচ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বৃহস্পতিবার কোম্পানির একটি ইভেন্টে ঘোষণা দেন, এখন থেকে তার কোম্পানির নতুন নাম হবে মেটা। আমরা এমনটি একটি প্রতিষ্ঠান যা ব্যবহারকারিদের আরও বেশি যোগাযোগের জন্য প্রযুক্তি তৈরি করব।

মেটাভার্স হলো ভার্চুয়াল জগৎ। এখানে ব্যবহারকারীরা যার যার চেহারার সঙ্গে মিল রেখে অ্যাভাটার তৈরি করতে পারবেন। তারাই অ্যাভাটারগুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন। তারা নিজের ঘরে হাঁটলে, ভার্চুয়াল জগতের অ্যাভাটারও হাঁটবে। হাত নেড়ে কথা বললে, অ্যাভাটারও তাই করবে। অর্থাৎ, মেটাভার্স হচ্ছে এমন একটা অনলাইন জগৎ, যেখানে ভার্চুয়াল দুনিয়ার মধ্যেই গেমিং, অফিসের কাজ এবং যোগাযোগের সবকিছুই করতে পারবেন ব্যবহারকারী। ফেসবুক এরই মধ্যে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ও অগমেন্টেড রিয়ালিটিতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। তৈরি করেছে অকুলাস ভিআর হেডসেট। কাজ করছে ‘এআর গ্লাসেস’ ও ‘রিস্টব্যান্ড’ প্রযুক্তি নিয়েও।

ফেসবুকের নতুন বিনিয়োগটি হবে ‘এক্সআর কর্মসূচি’ ও ‘রিসার্চ ফান্ড’কে ঘিরে। দুই বছর জুড়ে বৈশ্বিকভাবে গোটা অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে মেটভার্সের প্রযুক্তি ‘ব্যাপকতা ও ক্ষমতায়নের পন্থায়’ তৈরি বলে-জানিয়েছে ফেসবুক। এক প্রতিবেদন বলছে, গবেষকদের সঙ্গে ডেটা গোপনতা ও সুরক্ষাসহ চার খাতে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের। মেটাভার্সে ব্যবহারকারীরা অস্বস্তিকর অনুভব করছেন এমন কিছু দেখার পর যাতে সাহায্য নিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করবে এটি।

এর আগে প্রতিষ্ঠানটি ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, সব ব্যবহারকারীর জন্য প্রবেশযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রযুক্তি কীভাবে তৈরি করা যায়, তা-ও গবেষণা করে দেখবে ফেসবুক। ‘প্রতিযোগিতায় উৎসাহ’ জোগাবে উন্নয়নশীল শিল্পেও। সাম্প্রতিক সময়ে বড় পরিসরে নানাবিধ ইন্টারনেট সমস্যা নিয়ে তোপের মুখে পড়েছে ফেসবুক। এ রকম সমস্যার মধ্যে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া থেকে শুরু করে কিশোর বয়সিদের ওপর সামাজিক মাধ্যমটির নেতিবাচক প্রভাব বিস্তারের মতো বিষয়াদিও রয়েছে। ফেসবুকের নতুন মেটাভার্স তহবিলের প্রাথমিক অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসির হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি, দক্ষিণ কোরিয়ার সিওল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ হংকং।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ফেসবুকের | কোম্পানির | নতুন | নাম | মেটা