চিত্রনায়িকা পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় দুই বিচারকের ব্যাখ্যার বিষয়ে আগামী ২৫ নভেম্বর রায় দেবেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট এ দিন ঠিক করে আদেশ দেন।
এর আগে আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।
দুই বিচারকের পক্ষের আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল নিঃশর্ত ক্ষমার প্রার্থনার আবেদনটি হাইকোর্ট উপস্থাপন করেন। যেখানে লিখিতভাবে বলা হয়েছে যে, ‘অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাচ্ছি।’
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। পরিমনির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
গেলো ২৮ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরীমণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলামকে পুনরায় লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর আগে গেলো ২৪ অক্টোবর নায়িকা পরীমণির রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিলের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুই বিচারক হাইকোর্টে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে তাদের ব্যাখ্যা দাখিলে দুই বিচারককে আরও এক সপ্তাহ সময় দেন হাইকোর্ট।
গেলো ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমনির বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে র্যাব জানায়। পরে মাদক আইনে মামলা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
এদিকে, গেলো ২৬ অক্টোবর মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ তিন জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। অপর দুজন হলেন, আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এ দিন আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ ছুটিতে থাকায় চার্জশিট গ্রহণের জন্য ভারপ্রাপ্ত বিচারক ১৫ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।
এর আগে ১০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন। এর পর আদালত মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। ওই দিন পরীমণির আইনজীবী তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন।