স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৯তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে ঢাকা ও গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ, স্মরণসভা ও স্মরণিকা প্রকাশ। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রোববার (৭ মে) সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩৯নং ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকেলে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, তবারক বিতরণ ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (সদর-টঙ্গী) আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুই বার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য।
তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহ্বায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন এবং দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে তিনি গ্রেপ্তার হন ও কারাভোগ করেন। ২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি জোট সরকারের মদতপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল গ্রামের বাড়ি হায়দরাবাদ, টঙ্গী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগসহ আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদাতবার্ষিকীর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।