রাজধানীর পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে দুটিতে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। বাকি তিন মামলার এখনো শুনানি হয়নি।
রোববার (৭ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
এর আগে গেলো ৩ মে মামুনুল হকের জামিন বিষয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। ওইদিন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন।
ওইদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন। এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় কমপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি রিসোর্টে এক নারীসহ ঘেরাও হন মামুনুল হক। একপর্যায়ে ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন হেফাজতের কর্মীরা।
ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ওই বছরের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন সোনারগাঁয়ের ওই রিসোর্টে মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা নারী।