আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

হাতুড়িপেটা ও সুঁই দিয়ে খুঁচিয়ে কলেজছাত্রকে হত্যা

হাতুড়িপেটা ও সুঁই দিয়ে খুঁচিয়ে কলেজছাত্রকে হত্যা
রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অনার্সের ছাত্র ইকরাম হোসেনকে হত্যা করে গুম করার অভিযোগ উঠেছে তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গতকাল শনিবার (৭ মে) রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে শান্ত ও সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করলে তাদের থেকে এসব তথ্য জানতে পারে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে, শান্তর সঙ্গে অর্থের লেনদেন ও সিদ্দিকের মায়ের কাছে ইমরান অভিযোগ করা নিয়ে চলা দ্বন্দ্বে খুন হন ইকরাম। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলেন, ইকরাম পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর খিলক্ষেতের ডুমনী এলাকায় থাকতেন। বন্ধু শান্তকে ব্যবসার জন্য দুই লাখ টাকা দেন তিনি। সেখান থেকে প্রতি মাসে লভ্যাংশ নিতেন। কিন্তু রোজায় সেই লভ্যাংশ নিতে চাননি ইকরাম। তার মতে, সেই টাকা সুদ হয়ে যায়। তাই তিনি আর লভ্যাংশ নিতে চাননি। এ নিয়ে শান্তর সঙ্গে ইকরামের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। অন্যদিকে আরেক বন্ধু সিদ্দিকের বেপরোয়া জীবনযাপন নিয়ে তার মায়ের কাছে অভিযোগ করেন ইকরাম। এতে সেও ইকরামের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এরপর দুই বন্ধু মিলে ইকরামকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে খিলক্ষেতের ডুমনী এলাকায় নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও সুঁই দিয়ে খুঁচিয়ে ইকরামকে হত্যা করেন তারা। এরপর গুম করতে মরদেহ কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। উত্তরা বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনের এডিসি ইফতেখারুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূলত দুজন জড়িত। শান্ত ও সিদ্দিক। শান্তর সঙ্গে টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে সমস্যা আর সিদ্দিকের বেপরোয়া জীবনযাপন নিয়ে তার মায়ের কাছে ইকরাম অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত ছিল সিদ্দিক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শান্ত ও সিদ্দিক বন্ধু ইকরামকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে ঘটনার রাতে তারা তাকে খিলক্ষেতের ডুমনী এলাকায় কাউন্সিলরের গলিতে ডেকে নেয়। যেভাবে হত্যা করা হয় হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গেলো বৃহস্পতিবার রাতে ফোন করে ইকরামকে ডুমনী এলাকার কাউন্সিলরের গলির পাশে থাকা একটি বালুচরে ডেকে নেয় শান্ত ও সিদ্দিক। সেখানে যাওয়ার পর তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে দুজন মিলে ইকরামকে হাতুড়ি দিয়ে পেটাতে থাকে। পরে খাতা সেলাইয়ের সুঁই দিয়ে খুঁচিয়ে তাকে হত্যা করে। পুলিশ বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ইকরামকে ডেকে নেওয়া হলে তিনি সরল বিশ্বাসে যান। হত্যাকারীরা একই এলাকায় থাকেন। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আরও বলেন, মূলত ইকরাম নিখোঁজের পর থেকে দুই বন্ধুর কথোপকথনে বিষয়টি সন্দেহ তৈরি করে। এরপর তাদেরকে ডেকে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেছেন হত্যাকাণ্ডে মূল ভূমিকা পালন করেন সিদ্দিক। আর তাকে হত্যায় সহায়তা করেন শান্ত।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন হাতুড়িপেটা | ও | সুঁই | দিয়ে | খুঁচিয়ে | কলেজছাত্রকে | হত্যা