বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই খুনিদের পুনর্বাসন করেছিলেন। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়ার পাশাপাশি খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যেতেও সহযোগিতা করেছেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বণি জয় বাংলাকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তীতে তার ভূমিকা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছেই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। নিজেই নিজেকে বিতর্কিত করেছেন জিয়াউর রহমান। একজন সেক্টর কমান্ডারের এমন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি তোষণ ও পোষণ নীতিতে ইতিহাস নিজেই জিয়াউর রহমানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।
দলের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিতর্কিত ও বসন্তের কোকিলদের দলে আনা যাবে না। নিবেদিত প্রাণ ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। দল করতে হলে দলের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর।
১৫ আগস্ট পৃথিবীর ইতিহাসের নির্মম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের প্রধান বেনিফিশিয়ারি হিসেবে জিয়াউর রহমানকে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানই খুনীদের পুনর্বাসন করেছিলেন, বিভিন্ন দূতাবাসে দিয়েছেন চাকরি দেয়ার পাশাপাশি খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যেতেও সহযোগিতা করেছেন।
এস
