ক্রমেই বেড়ে চলেছে মোখা নিয়ে আতঙ্ক। এ নিয়ে জারি হয়েছে সতর্কতাও। যেকোনো সময় চলে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোখা।
একদিকে যেমন এই ঝড় নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে, তেমনই সোশ্যাল মিডিয়ায় এর নাম নিয়ে চলছে নানা ধরনের রঙ্গরসিকতা। কেউ বলছেন, এর নাম মোকা, কেউ বলছেন মোচা। কিন্তু এই নামের উৎস আসলে কী? সে সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না। কীভাবে ঘূর্ণিঝড়টি মোখা নাম পেল? চলুন জেনে নেয়া যাক।
ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (WMO/ESCAP) তথ্য অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে ইয়েমেন। সেই দেশের বিখ্যাত শহর মোখার নাম থেকেই রাখা হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম।
মোখা এমনিতেই বেশ পরিচিত একটি শহর। সারা বিশ্বের কাছে এই শহরের পরিচিতি তার কফির জন্য। কফির উৎপাদন এবং সারা বিশ্বে সরবরাহের কাজ করা হয় এই শহর থেকে। এটির নামেই নামকরণ হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের।
আমফানের মতোই কি মোখা বিধ্বংসী হতে পারে? হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত সেই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করা উচিত হবে না।
পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের পূর্বাভাসের মধ্যে পার্থক্য কমে এসেছে। এসময়ে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র স্থলভাগে আঘাতের সময় প্রায় একদিন এগিয়ে এসেছে। তবে দুটি মডেলের মধ্যে স্থলভাগে আঘাতের সময়ের পার্থক্য ১৮ ঘণ্টা রয়েছে এখন, যা প্রতিদিন কমতে থাকবে সামনের দিনগুলোতে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দুটি মডেলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে পার্থক্য কমে এসেছে তা হলো ইউরোপিয়ান মডেল অনুসারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলের ওপর দিয়ে ও আমেরিকার মডেল অনুসারে উত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপিয়ান মডেল অনুসারে ১২ মে দুপুর ১২টার পর থেকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলের ওপর দিয়ে ও আমেরিকান মডেল অনুসারে ১৩ মে দুপুর ১২টার পর থেকে স্থলভাগে উত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে।