প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ কোনওটিই যেনো বাংলাদেশকে ক্ষতি করতে না পারে সেই দোয়া করবেন। চলতি বছরের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হজযাত্রীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার (১৯ মে) বেলা ১২টায় রাজধানীর আশকোনায় হজ অফিসে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। এখান থেকে ‘হজ কার্যক্রম-২০২৩’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ, দুর্বিপাক অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সেই সাথে আমাদের দেশে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগও হয়। আমাদের দেশে অগ্নি সন্ত্রাস হয়। বাসের মধ্যে, গাড়ির মধ্যে আগুন দিয়ে মানুষ মারে। কোনও যেনো বাংলাদেশকে ক্ষতি করতে না পারে সেই দোয়া করবেন। বাংলাদেশের মানুষে যেনো কনোও ক্ষতি করতে না পারে সেই দোয়া করবেন। আমি আপনাদের কাছে এই দোয়া চাই।
তিনি বলেন, আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। জাতির পিতার স্বপ্ন যেনো বাস্তাবায়ন করতে পারি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সৌদির বাদশাহর কাছে অনুরোধ করেছিলেন যাতে আমাদের দেশের মানুষ হজে যেতে পারেন। সৌদির বাদশাহও সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। অল্প খরচে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধু করে দিয়েছিলেন। ’৭৫ পরে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই জাহাজটিটিকে প্রমোদতরীতে পরিণত করে। তখন হজ যাত্রা হতো না। এটা দুঃখজনক।
তিনি বলেন, বাবা সরকারে এসেই হজ ব্যবস্থা যেনো সুষ্ঠুভাবে হয় তার ব্যবস্থা নেন। তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। একটা টাকা রিজার্ভ মানি নেই। কারেন্সি নোট নেই। গোলায় খাবার নেই। এর মাঝে মানুষ যাতে অল্প খরচে হজ করতে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা তিনি নিয়েছিলেন। হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করে হজের ব্যবস্থা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ই-হজ ব্যবস্থাপনার কারণে হজযাত্রা অনেক সহজ হয়েছে। এবছর শতভাগ হজযাত্রী সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন করতে পারবেন।
আগামী ২০ মে দিনগত রাত পৌঁনে ৩টায় প্রথম হজ ফ্লাইট সৌদি আরবে যাবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন। ইতোমধ্যে হজযাত্রী নিবন্ধন শেষ হয়েছে। তবে হজের খরচ বেশি হওয়ায় কোটা পুরোপুরি পূরণ করা যায়নি।