সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের উন্নয়নে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে সব সময় ভাবতেন আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাকে সুযোগ দিয়েছিলেন বলেই আবুল মাল আবদুল মুহিত সফলতা দেখাতে পেরেছিলেন। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিত, কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত এগুলো নিয়ে আবুল মাল আব্দুল মুহিত অনেক চিন্তা করেছেন, কাজ করেছেন। তিনি আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে নব্বইয়ের দশকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত সময়ে এসব বিষয়ে একাধিক বই লিখেছিলেন। এসব বইতে আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের উন্নয়নের জন্য কী কী করনীয় তা লিখেছেন এবং সেগুলোর বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ সম্পর্কে তার বিভিন্ন বইতে তিনি তুলে ধরেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে আওয়ামী লীগে গ্রহণ করেন এবং মনোনয়ন দেন। আবুল মাল আব্দুল মুহিত সেই নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। তবে ২০০১ থেকে ২০০৮ এই সময়ে তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যার সাথে কাজ করার সুযোগ পান। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে কীভাবে দেশের উন্নয়ন করবেন সে বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করেন। তাদের সেই পরিকল্পনার সফল প্রতিফলন তিনি অর্থমন্ত্রী হওয়ার পরে আমরা দেখেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর দেশের উন্নয়নে তার পূর্বের পরিকল্পনার সফল প্রতিফলন তিনি দেখিয়ে যেতে পেরেছেন এবং সেটা সম্ভব হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছিলেন বলে।
আব্দুল মোমেন বলেন, মুহিত ভাইকে নিয়ে যখন আমরা মূল্যায়ন করি তখন একইভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা দরকার, ধন্যবাদ জানানো উচিত, কারন তিনি তাকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছিলেন বলেই দেশ উপকৃত হয়েছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। গ্রন্থটিতে প্রয়াত আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে নিয়ে বিশিষ্টজনদের লেখা ৫৬টি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে।