বাংলাদেশ রেলওয়েকে ডিজেল চালিত ২০টি ভারতীয় ডব্লিউডিএম-৩ডি ব্রডগেজ রেলইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) উপহার দিয়েছে ভারত। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক উত্তরোত্তর বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করে উভয় দেশ।
মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে বাংলাদেশ রেলওয়ে ভবনে রেলইঞ্জিন হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এবং ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
রেলমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, পারস্পরিক বিশ্বাস ও বোঝাপড়ার। ২০২৪ সালে রেলের আমূল পরিবর্তন হবে। এ ছাড়া ইলেকট্রিক ট্রেকে রেল চালানোর পরিকল্পনার কথাও জানান মন্ত্রী।
অপরদিকে ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব গণমাধ্যমে বলেন, এই রেলইঞ্জিন বাংলাদেশ রেলওয়ের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবে। দুই দেশের সরকারের জন্য অগ্রাধিকার ছিল বহুমুখী সংযোগ বাড়ানো। বিশেষ করে রেলওয়েতে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় নেতৃত্বে দুই দেশের রেলপথে যাত্রীপরিবহন ও বাণিজ্য নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। যৌথ উন্নয়ন প্রকল্প অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশের রেলখাতের উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ, কারিগরি ও অবকাঠামোগত সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ভারত। নরেন্দ্র মোদি বিশ্বাস করেন, এ অঞ্চলের সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ-ভারতকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে যোগ করেন ভারতের রেলমন্ত্রী।
এর আগে ২০২০ সালে ভারত থেকে ১০টি ব্রডগেজ রেলইঞ্জিন অনুদান হিসেবে পেয়েছিল বাংলাদেশ। গত বছরের ১ জুন নয়াদিল্লির রেলভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশ রেলওয়েকে ২০টি বিজি লোকোমোটিভ অনুদান হিসেবে দেওয়ার বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়। পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ বিবৃতিতে ভারতীয় রেলওয়ে থেকে ২০টি বিজি লোকোমোটিভ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এবছর উপহার পাওয়া রেলইঞ্জিন নম্বর হচ্ছে— ১১৫৪৫, ১১৪০৩, ১১৪৪১, ১১৫৪৭, ১১৫৭২, ১১৫৩৫, ১১৫৩৮, ১১৫৪৮, ১১৫৬৮, ১১৪১২, ১১৫৮১, ১১৪১৯, ১১৪২০, ১১৪২২, ১১৪৮২, ১১৪৯৪, ১১৩৬৯, ১১৩৭৮, ১১৩৭৯ এবং ১১৩৩৬।
এ ইঞ্জিনগুলোর হর্স পাওয়ার ৩ হাজার ৩০০। এক্সেল লোড ১৯ দশমিক ৫ টন এবং গড় বয়স ৮-১০ বছর।