আর্কাইভ থেকে জাতীয়

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট। যদি এ বছরের মধ্যে দাবি না মানা হয় তাহলে ১০ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জোটটি। 

আজ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ হুঁশিয়ারি জানান।  

মহাজোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য বিরাজমান। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী সবাই নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ঈদ বোনাস পান শিক্ষার ২৫ শতাংশ। 

এ ছাড়াও তিনি বলেন, অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিকট থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনও দেওয়া হয় না এবং বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তাও নেই। অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। অধিকাংশ শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে চাকরি করেন, তাদের জন্য বদলি ব্যবস্থা চালু জরুরী।

মহাজোটের সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭৩ সালের ৭৩ দিনের শিক্ষক আন্দোলনের সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেটে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন ৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায় উন্নীত করেন এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের বেতন ১৫০ টাকার উন্নীতকরণসহ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেন। তখন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে আমি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করে দিব। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আর এ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবি পূরণ হয়নি। তবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে আরও ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। তাছাড়া বর্তমান সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০১৮ সালের জুলাই থেকে বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা দিয়ে আসছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহাজোটের মো. শাহ্ আলম, তালুকদার আব্দুল মন্নাফ, মো. আফজলুর রশিদ আর অনেকে।

 

এসআই/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন শিক্ষা | প্রতিষ্ঠান | জাতীয়করণের | দাবিতে | অবস্থান | কর্মসূচির | হুঁশিয়ারি