আমরা গাজীপুরবাসীকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দিতে চাই। সেই কেন্দ্রগুলোকে আমরা আলাদাভাবে নজরদারিতে রাখবো। বললেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
বুধবার (২৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা ব্রিফিং অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা গাজীপুরবাসীকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দিতে চাই। আমাদের কিছু কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ আছে। সেই কেন্দ্রগুলোকে আমরা আলাদাভাবে নজরদারিতে রাখবো এবং সেখানে ফোর্স বাড়িয়ে দেবো।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলার কোনো ব্যত্যয় ঘটলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।
এরপর দুপুর থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) অন্য নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়। গাজীপুর মহানগরের পৃথক পাঁচটি আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে।
গাজীপুর সিটির ধীরাশ্রম জিকে হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১২০টি কেন্দ্রের, চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড স্কুল থেকে ১১৫ কেন্দ্রের, দারুস সালাম মাদরাসা থেকে ৫৮ কেন্দ্রের, আজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৬৮ কেন্দ্রের ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১৯ কেন্দ্রের নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে।
১৯৫ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রেজাউল করিম বলেন, আমরা ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনী অন্য সরঞ্জাম বুঝে নিয়েছি। কেন্দ্রে পৌঁছে ইভিএম মেশিন চালিয়ে দেখবো। যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাবো। কেন্দ্রের নিরাপত্তা ও ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য চারজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দেয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে যেসব কেন্দ্র অতি গুরুত্বপূর্ণ সেসব কেন্দ্রে অধিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার যেসব কথা প্রচলন রয়েছে এমন কোনো ঘটনা ঘটবে না।
রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি অতিগুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অতিরিক্ত ১৯ জনসহ মোট ৭৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া র্যাবের ৩০টি টিম এবং ২০ প্লাটুন বিজিবিসহ মোট প্রায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন। কাশিমপুর থানায় ৪৭টি, কোনাবাড়ি থানায় ৪৩টি, বাসন থানায় ৪২টি, সদর থানায় ৪৬টি, গাছা থানায় ৫৭টি, পূবাইল থানায় ৩২টি, টঙ্গী পূর্ব থানায় ১১১টি এবং টঙ্গী পশ্চিম থানায় ৫২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।