রাজধানীর দক্ষিণখানে স্ত্রীকে হত্যা করে বাড়ির উঠানে মরদেহ পুঁতে রেখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে স্বামী। অজ্ঞাত স্থান থেকে আবার ভিডিও কলে স্ত্রীর মরদেহ পুঁতে রাখার স্থান পুলিশকে দেখিয়ে দেয় ওই অভিযুক্ত। হত্যাকাণ্ডের পাঁচদিন পর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার (৩১ মে) এ ঘটনায় আফরোজার স্বামী আশরাফুলের পরিবারের চার জনকে আটক করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন খান।
স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, নিহত আফরোজা বেগম নামের ওই নারী মাস তিনেক আগে স্বামী আশরাফুল আলমের সঙ্গে কানাডা থেকে দেশে আসেন। দু’জনই কানাডার নাগরিক বলে দাবি করেন স্বজনরা।
আফরোজার স্বজনরা জানান, কয়েক মাস আগে কানাডায় বিয়ে হয় দু’জনের। এরপর সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। মার্চের শেষের দিকে দেশে আসেন তারা। পারিবারিক কোনো কলহের খবর জানা নেই স্বজনদের। কিন্তু হঠাৎ করে শুক্রবার থেকে আফরোজার কোন খোঁজ না পাওয়ায় সোমবার দক্ষিণখান থানায় জিডি করেন তার পরিবার।
জিডির সূত্র ধরে আফরোজার মরদেহের খোঁজ পায় পুলিশ। কৌশলে স্বামীর কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের তথ্য আদায় করে মরদেহের স্থানটিও চিহ্নিত করা হয়। কর্মকর্তাদের ধারণা, পারিবারিক দ্বন্দ্বে কুপিয়ে হত্যা করা হয় আফরোজাকে।
ওসি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন খান আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পরই কানাডায় পাড়ি জমায় স্বামী আশরাফুল। তবে, ঠিক কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা এখনো স্পষ্ট নয় কারো কাছে। ধারণা করা হয়, কোটি টাকার কাবিন নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।