নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এলাকাবাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা এবং গুলিবর্ষণের ঘটনার মূলহোতা মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে মোশা ও তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বিদেশি অস্ত্রসহ কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া শাখা প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার মোশাররফ ‘মোশা বাহিনী’র প্রধান। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ ৪০টির বেশি মামলা রয়েছে।
র্যাবের মিডিয়া শাখা প্রধান বলেন, ২৫ মে রূপগঞ্জে স্থানীয় জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা এবং গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ ২০-২৫ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার পর রূপগঞ্জ থানার বাদী হয়ে মামলা করে পুলিশ।
বুধবার (৩১ মে) রাতে অভিযান চালিয়ে ভুরুঙ্গামারী থেকে মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে মোশা (৪৭) ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেলোয়ার হোসেনকে (৫২) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারদেকৃতদের দেয়া তথ্যে ভোরে রূপগঞ্জের নাওড়া এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে রূপগঞ্জ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। মোশারফের নেতৃত্বে দলটির ৭০-৮০ জন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, অবৈধভাবে জমি দখল, হুমকি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হলে তাকে ভয় দেখানো হতো।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য ‘মোশা বাহিনী’ নামে একটি সন্ত্রাসী দল গড়ে তুলেন মোশারফ। নারায়ণগঞ্জের ঘটনার পর তিনি কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে আত্মগোপনে চলে যান। এর আগে তিনি একাধিকবার কারাভোগ করেছেন। আর তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় পাঁচের অধিক মামলা রয়েছে। তিনিও বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার কারাভোগ করেছেন।