লিওনেল মেসির পিএসজি ছাড়া নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশার তৈরি হয়েছে। বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে খেলতে আসা মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে এ মাসেই। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ফরাসি ক্লাবটির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করবেন না এমন তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন দলটির কোচ ক্রিস্টোফার গালটিয়ের।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) মেসির পিএসজি ছাড়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেন গালতিয়ের। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়কে কোচিং করানোর মতো সৌভাগ্য হয়েছে আমার। এটাই (ক্লেরমঁর বিপক্ষে) পার্ক দে প্রিন্সেসে তার শেষ ম্যাচ।’ এমনকি পিএসজিতে মেসি তার শেষ ম্যাচে উষ্ণ অভিনন্দন পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছিলেন গালতিয়ের, ‘আমি আশা করছি যে সে উষ্ণতম অভিনন্দনই পাবে।’
মেসিকে নিয়ে গালতিয়েরের সেই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ইএফইর সঙ্গে কথা বলেছেন পিএসজির এক মুখপাত্র। সেখানে তিনি ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন,“গালতিয়ের কথাটা ঠিকভাবে বলতে পারেননি। ক্লেরমন্তের বিপক্ষে আগামীকাল মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলবে আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করা পিএসজি। অন্য খেলোয়াড়দের মতো মেসির জন্যও এটা মৌসুমের শেষ ম্যাচ।”
এদিকে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’ জানিয়েছে, পিএসজি জানে মেসি আর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চাচ্ছেন না। কিন্তু প্যারিসের ক্লাবটি নাকি এখনো আশা ছাড়েনি। মেসির বর্তমান চুক্তিতে আরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ আছে। পিএসজি নাকি এই আশায় বসে আছে।
এমন পরিস্থিতে আজ শনিবার ক্লেরমঁ ফুতের বিপক্ষে মেসির শেষ ম্যাচ হবে কি না তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকাটাই স্বাভাবিক। ক্লাব বা মেসির পক্ষ থেকে সরাসরি কোন ঘোষণা আসেনি। অপরদিকে কোচ গ্যালতিয়েরও গণমাধ্যমে নিজের বলা কথা কোন ভুল স্বীকার করে গণমাধ্যমের কাছে ক্ষমাও চাননি।
তবে এতোদিনেও পিএসজির সঙ্গে নতুন কোন চুক্তিতে না যাওয়ায় অনুমেয় ভাবেই আজকেই শেষ ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদি সত্যিই মেসির শেষ ম্যাচ হয়, তাহলে পার্ক দ্য প্রিন্সেসের গ্যালারির পরিবেশটা কেমন থাকবে? গ্যালারিতে মেসি-বিরোধী স্লোগান উঠবে,ভেসে আসবে দুয়ো? নাকি অতীতের সব রাগ-ক্ষোভ ভুলে বিদায়বেলায় এই ফুটবলের খুদে জাদুকরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে মানবিকতার পরিচয় দেবেন পিএসজির সমর্থকরা?
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি কখনোই হতে হয়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়কে, পিএসজিতে এসে সেই অভিজ্ঞতাই বরণ করতে হয়েছে তাঁকে। দল এবং নিজের বাজে দিনে নিজ দলের সমর্থকদের কাছ থেকেই দুয়ো শুনতে হয়েছে। তাও এক-দুই বার নয়, দুই বছরে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে এই অচেনা তিক্ততার মুখোমুখি মেসিকে হতে হয়েছে বহুবার।