অস্ট্রিয়াতে এতদিন স্বেচ্ছামৃত্যু নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করতে পারবে অস্ট্রিয়াবাসী। সম্প্রতি স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বেছে নেয়ার বিল পাস করেছে অস্ট্রিয়ার পার্লামেন্ট। তবে এতে বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
নতুন আইন অনুসারে, শর্তসাপেক্ষে অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ মানুষ স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারবেন। সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, লুক্সেমবুর্গে স্বেচ্ছামৃত্যুর আইন রয়েছে।
কী শর্ত পালন করতে হবে?
নতুন যে আইন পাস হয়েছে, তার নাম দেয়া হয়েছে অ্যাসিসটেড সুইসাইড অ্যাক্ট। এতে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সীরা স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারবেন। তবে তারা হয় মৃত্যুপথযাত্রী হবেন অথবা এমন অসুখে পড়ে ভয়ঙ্কর দুর্বল হয়ে পড়েছেন, যা ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
প্রতিটি ক্ষেত্রে দুইজন চিকিৎসক আবেদন বিচার করে দেখবেন। রোগী নিজের ইচ্ছায় স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিচ্ছেন কি না, তাও বিচার করে দেখবেন তারা। অন্তত ১২ সপ্তাহ দেখা হবে, অসুস্থ মানুষ সাময়িক সংকটে কাতর হয়ে এই আবেদন করেছে কি না। তবে অসুস্থতার কারণে, যার অদূর ভবিষ্যতে মৃত্যু হতে পারে, তার ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ দেখা হবে না।
যিনি স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে চান, তাকে আইনজীবীর কাছে বা নোটারির কাছে জানাতে হবে, তিনি ওষুধ খেয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু চান।
কেন এখন আইন করা হলো
অস্ট্রিয়ার সাংবিধানিক আদালত জানিয়ে দেয়, স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ না করতে দেয়া মানবাধিকার ভঙ্গের সামিল।
সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, লুক্সেমবুর্গে স্বেচ্ছামৃত্যুর আইন রয়েছে। সুইজারল্যান্ডে বিদেশিরাও গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করতে পারে। জার্মানি ও ফ্রান্সে আদালত স্বেচ্ছামৃত্যুকে আইনসঙ্গত করলেও সরকার কোনো আইন করেনি। পর্তুগালের পার্লামেন্ট বিল পাস করলেও প্রেসিডেন্ট সেই বিলে সম্মতি দিতে রাজি হননি।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে, এএফপি
এস