আওয়ামী লীগ ডাইভারশন খুব ভালো জানে। দৃষ্টি ফেরাতে সবসময় অন্য কিছু করে। সীমাহীন লোডশেডিং থেকে এখন দৃষ্টি সরাতে হবে। তাই আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যরা এখন সংলাপের বক্তব্য সামনে এনেছেন। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই। পদক্ষেপ নেন, তত্ত্ববধায়ক সরকার দেন। পরে দেখা যাবে কী করতে হবে। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র সংকট: উত্তরণ প্রয়াসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ শীর্ষক আলোচনা সবায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, লড়াই করছি দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। দেশের মানুষ সংগ্রাম করে দাবি আদায় করতে জানে। নির্বাচন হবে নিশ্চয়। কিন্তু সেটি যেন নিদর্লীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয় সেই দাবি আদায় করতে হবে। দরকার হলে রাজপথে নামতে হবে।
ফখরুল বলেন, বিদ্যুতের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করছে, এখন কেন এ অবস্থা? সব ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়েছে। টাকাগুলো গেলো কোথায়? অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারের টাকা নেই, ডলারও নেই। এজন্য মহাসংকট তৈরি হয়েছে।’
তিনি বলেন, মানুষ যা চায়, আওয়ামী লীগ তার উল্টো কাজ করে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্র যায় না। ভাষা প্রকাশ, মতপ্রকাশে তারা উগ্র। তারা নিজেরা নিজেরা লড়াই করেন, তাদের কোনো কিছুই গণতান্ত্রিক না। বিএনপি এ ধ্বংসাত্মক মতবাদে বিশ্বাসী না। সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকায় আজকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংকট। ২০১১ সালে শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে। তখন বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছিলেন, ‘আজকে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চিরস্থায়ী সংকট, সংঘাত শুরু হলো।’ সেটাই হয়েছে এবং চলছে।