বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ফেনী-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন জয়নাল হাজারী। ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। ফেনীর গডফাদার নামেও পরিচিত ছিলেন আলোচিত এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
জয়নাল হাজারী ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে তিনবার এমপি নির্বাচিত হন জয়নাল। তার অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিজের ত্রাণ তহবিল থেকে ৪০ লাখ টাকা অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
হাজারী ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর ২০০১ সাল পর্যন্ত ফেনীতে সন্ত্রাসের শিকার হয়ে প্রায় ১২০ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়। এই পেক্ষাপটের পেছনে তাকে সন্দেহ করা হয়। ২০০১ সালে তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১৬ আগস্ট রাতে তার বাসভবনে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এরপর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
২০০৪ সালের এপ্রিলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ২০০৯ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলটিপুনরায় ক্ষমতায় আসার পর তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন এবং আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যাকাণ্ডের পর নানা কারণে আলোচনায় উঠে আসেন সমালোচিত এই ব্যক্তিত্ব।
এস
