আর্কাইভ থেকে জাতীয়

‘নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে সরকার ইসিকে পূর্ণ সহায়তা দেবে’

‘নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে সরকার ইসিকে পূর্ণ সহায়তা দেবে’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, ভীতিহীন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করতে বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা দেওয়ার সব ব্যবস্থা নিয়েছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান বাংলাদেশের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, তখনই সুষ্ঠু, অবাধ, ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীনভাবে দায়িত্বপালন করতে পারে সেজন্য সব সহায়তা দিয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, ভীতিহীন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে।’ তিনি বলেন, “আমরা ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০১২’ প্রণয়ন করেছি (২০২২ সালের ০১ নম্বর আইন)। এই আইন অনুযায়ী ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করে যাবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে যা যা করার তার সবকিছু করবে। আমরা দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষককে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যারাই পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় তারা পাঠাতে পারবেন।” জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইতিহাস মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার ইতিহাস। জাতির পিতাকে হত্যার পর ১৯৮১ সালে ১৭ মে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম পদার্পণ করি। তারপর থেকে স্বৈরতন্ত্রকে উৎখাত এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জীবনবাজি রেখে সংগ্রাম করেছি। জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন, হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার যাতে কেউ কেড়ে নিতে না পারে তা রক্ষায় কাজ করেছি। জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। আমাদের সরকার জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনও ক্ষমতা দখল করতে আসেনি বরং জনগণকে এ অধিকার ফিরিয়ে দিতে এসেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার। আমরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করতে পেরেছি। বিএনপির আমলে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো বিতর্কিত নির্বাচন কখনও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়নি এবং হবেও না।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন নির্বাচন | গ্রহণযোগ্য | করতে | সরকার | ইসিকে | পূর্ণ | সহায়তা | দেবে