জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ পড়তে জায়নামাজ আর ছাতা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। এছাড়া জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকলেও পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সেটা অব্যাহত থাকবে। বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
বুধবার (২৮ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ডিএমপি কমিশনার মাঠের নিরাপত্তা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও রাজধানীর সব গুরুত্বপূর্ণ জামাতে ডিএমপির বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আর জাতীয় ঈদগাহে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এখানে নামাজ পড়তে আসা প্রত্যেককে জায়নামাজ আর ছাতা ছাড়া অন্যকিছু নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে চেক করে প্রবেশ করতে দেয়া হবে।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সাদা পোশাকে থাকবে ডিবির টিম, জঙ্গি তৎপরতা রোধে কাজ করবে সিটিটিসি। সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। যদিও জঙ্গি হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
ফাঁকা ঢাকায় সব ধরনের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি প্রধান বলেন, টহল জোরদার করা হয়েছে। বাইরে থেকে এসে কেউ বড় ধরনের নাশকতা করতে পারবে না। তবুও বাড়ি যাওয়ার আগে আপনাদের মালামাল, স্বর্ণ বা নগদ টাকা কারও কাছে নিরাপদে গচ্ছিত রেখে যাবেন।
গত একমাস ধরে চোর, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টিসহ এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত ৬০০ জন পেশাদার অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান গোলাম ফারুক।