ঈদের দিন দেশের আট বিভাগে অর্থাৎ সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সব বিভাগে কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। তবে এসময় রংপুর বিভাগে বৃষ্টির প্রবণতা কম ছিল। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে। ঢাকায় ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২৮ জুন) সকাল থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা কম। তবে মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকেই ঢাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ছত্তিশগড় এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপ বর্তমানে সুষ্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে উত্তর-পূর্ব মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, সুষ্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. তারিফুল নওয়াজ কবির জানান, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
ঈদের দিন ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি থাকতে পারে। সে অনুযায়ী দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা কম থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সৈয়দপুরে। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে।
অন্যদিকে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এক সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।