দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিদেশে লবিস্ট নিয়োগের বৈধতা আছে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের দেশে এটিকে আমরা তদবির বলি। দেশের স্বার্থে যেখানে দরকার হবে, সেখানে সরকার তদবির চালাবে। বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করলে সেটি নিয়ে সরকারের মাথা ব্যথা নেই।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিলিয়ার ৫০ বছর পূর্তি উপলেক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দেওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মার্কিন প্রশাসন, নীতিনির্ধারক, মানবাধিকার গোষ্ঠী ও গণমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে একাধিক লবিস্ট প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছে। ঝড় আসা যাওয়ার মাঝেই সমাধান পাওয়া যায়, আমেরিকা যেমন তাদের পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন করতে চায়, তেমনি বাংলাদেশের ও তাদের পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমেরিকাতে লবিস্ট নিয়োগ করেছে, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। তবে আওয়ামী লীগে এসব উপেক্ষা করেই সবসময় সফল হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর একটা নিষেধাজ্ঞা এসেছে, কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে এবং স্বীকার করেছে যে র্যাব সন্ত্রাস অনেকটা কমিয়েছে। তারা সেগুলো চিন্তাভাবনা করবে।
তাদের যে লক্ষ্য, সন্ত্রাস কমানোসহ অন্যান্য কাজ, র্যাব সেগুলোই করছে এবং সফলভাবে করছে। এ কারণে র্যাব বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। আমার মনে হয়, সবাই এটা বুঝবে এবং তখন অবস্থার পরিবর্তন হবে।
তিনি বলেন, আমরা আইনের দেশ। এ দেশের সৃষ্টিই হয়েছিল গণতান্ত্রিকভাবে। আমেরিকাও গণতান্ত্রিক দেশ। গণতন্ত্রে অনেক ধাক্কা আসে। সব গণতন্ত্রতেই অপূর্ণতা আছে। আমরা দিনে দিনে পরিপক্কতা অর্জন করেছি। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক নিয়মে চলছি। এর মধ্যে যদি কোনো ধাক্কা আসে, আমরা সেটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখব।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিলিয়ার পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ, বিলিয়ার চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যরিস্টার এম আমির-উল ইসলাম, বিলিয়ার আজীবন সদস্য মুহাম্মদ জামির প্রমুখ।
এস