আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ইতিহাস গড়লো আইরিশরা

ইতিহাস গড়লো আইরিশরা

ক্যারিবীয়দের মাটিতে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাসই গড়লো আয়ারল্যান্ড। লো স্কোরিং ম্যাচ হলেও তা ছিলো টান টান উত্তেজনা। যেখানে শেষ হাসি ফুটল আইরিশদের মুখেই। এই প্রথম আইসিসির কোনো পূর্ণ সদস্যের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে সিরিজ জিতলেন আইরিশরা। 

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতায় থেকে শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে সিরিজের শেষ ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিয়েছিলো। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে রোববার টস জিতে ফিল্ডিং নেন আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং। 

ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেন উইন্ডিজের দুই ওপেনার জাস্টিন গ্রিভস ও শাই হোপ। ৩১ বলে ১২ রান করেন গ্রিভস। অন্যপ্রান্তে মারমুখী ছিলেন হোপ।  ৩৯ বলে ৫১ রান করে ফেলেন। বিনা উইকেটে ১১তম ওভারে এ জুটি তুলে ফেলে ৭২ রান। এরপরই পর পর চারটি আঘাত হানে আইরিশ বোলাররা। মাত্র ১৪ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসেন স্বাগতিকরা।

ক্রেইগ ইয়াং ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রায়ান দুটো করে উইকেট তুলে নেন। ইনিংসের ২৩তম ওভারে ১০১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে উইন্ডিজ। সেখান থেকে ৬২ রানের জুটি গড়ে দলকে সম্মানজনক স্কোরের দিকে নিয়ে যান জেসন হোল্ডার ও রোমারিও শেফার্ড। 

৬০ বলে ৪৪ রানের মাথায় রানআউট হয়ে ফেরেন হোল্ডার। শেফার্ড আউট হন ২১ বলে ১৩ রান করে। টেলএন্ডার আকিল হোসেন ৩৬ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। এর পর ওডেন স্মিথ ১০ বলে ২০ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেললে ৪৪.৪ ওভারে ২১২ রানে গিয়ে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

আয়ারল্যান্ডের পক্ষে ১০ ওভারে দুই মেইডেনসহ মাত্র ২৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন ম্যাকব্রাইন। এ ছাড়া ক্রেইগ ইয়ং শিকার করেন ৪৩ রানের ৩ উইকেট।

২১৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সফরকারীরা শুরুতেই ধাক্কা খায়। রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান আইরিশ বাঁহাতি ওপেনার উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেট জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় স্টারলিংয়ের দল। 

১২ ওভার ৫ বলে ৭৩ রান যোগ করেন স্টারলিং ও ম্যাকব্রাইন। ইনিংসের ১৩তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৪৪ রান করেন অধিনায়ক স্টারলিং।  এর পর চার নম্বরে নামা হ্যারি ট্যাক্টরের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়েন ম্যাকব্রাইন। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাকব্রাইনের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান। ট্যাক্টর খেলেন ৫৮ রানের ইনিংস।

একপর্যায়ে ৪ উইকেটে ১৯০ রান করে ফেলে আয়ারল্যান্ড।  জয়ের জন্য বাকি ছিল আর মাত্র ২৩ রান। কিন্তু এমন মুহূর্তে ১৮ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট শিকার করে উইন্ডিজকে খেলায় ফেরান ক্যারিবীয় বোলাররা।  তবে দুই টেলএন্ডার মার্ক অ্যাডায়ার ও ক্রেইগ ইয়াং দলের জয় ফসকে যেতে দেননি। দুজনে মিলে ৩১ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যান। 

তাতেই গড়া হয়ে যায় ইতিহাস। দুই উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর সিরিজ নিশ্চিত করে আয়ারল্যান্ড। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ১০ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন আকিল হোসেন।  ৪৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন রস্টন চেজও।  একটি করে উইকেট পান আলজারি জোসেভ ও ওডেন স্মিথ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে ১০ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন আকিল হোসেন।  ৪৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন রস্টন চেজও।  একটি করে উইকেট পান আলজারি জোসেভ ও ওডেন স্মিথ।

তাতেই গড়া হয়ে যায় ইতিহাস। দুই উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর সিরিজ নিশ্চিত করে আয়ারল্যান্ড। 

হাসিব মোহাম্মদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ইতিহাস | গড়লো | আইরিশরা