মিয়ানমারে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধে আরও দুটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছেন তার আইনজীবী খিন মুং জ। গেল এক ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর উইন মিন্টকে আটক করা হয়।
মিন্টের শুনানির দিন কবে নির্ধারণ করা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে এই অভিযোগে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান আছে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের আইনজীবী মুং জ।
এক ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করার কয়েক ঘণ্টা আগে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেত্রী অং সান সু চিসহ উইন মিন্টকেও গ্রেপ্তার করে সামরিক বাহিনী।
গ্রেপ্তারের পরপরই মিন্টের বিরুদ্ধে করোনার বিস্তার রোধে জারি করা বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে অস্থিরতা চলছে। গেল প্রায় চার সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। প্রথম দিকে সংযম দেখালেও কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ দমনে সহিংস হয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
এদিকে, সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এখনও উত্তাল রাজপথ। কয়েকদিনের মতো বুধবারও দিনের শুরুতেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়।
সকাল থেকেই রাজধানী নেইপিদো, ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন শহরে রাজপথে নামে বিক্ষোভকারীরা। বিভিন্ন স্থানে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর বাঁধার মুখে পড়ে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাজধানীতে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতেও চলে ধরপাকড়।
দেশটির সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্তত ২১ জন বিক্ষোভকারী। একজন পুলিশ সদস্য নিহতের কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার জান্তা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সহিংসতা বন্ধে সামরিক সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
এসএন
