এডিস মশাবাহী ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় চলমান বিশেষ অভিযান ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। বললেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর দক্ষিণখানে শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘মশার কামড় ক্ষতিকর’ শীর্ষক সচেতনতামূলক কার্টুন বই বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসি তিন স্তরে কার্যক্রম শুরু করেছে। কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে নিজ নিজ এলাকার মসজিদের ইমাম, স্কুলের শিক্ষক ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে সভা করতে হবে। অনেক ওয়ার্ডে এটি শুরু হয়েছে। আমরা সিটি করপোরেশন থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, অভিযান আরও জোরদার করতে ১০ অঞ্চলের জন্য ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হচ্ছে। আমরা দ্রুতই এডিসের লার্ভা ধ্বংসে কার্যকরী বায়োলজিক্যাল কীটনাশক প্রয়োগ করব। আমাদের কাউন্সিলররা মাঠে আছে। সবাইকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলেই ডেঙ্গু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড দেখিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে।
মেয়র বলেন, যেকোনো উন্নয়ন কার্যক্রম চলাকালীন মানুষের চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন হয়। নতুনভাবে সংযুক্ত ওয়ার্ডগুলোতে টেকসই উন্নয়নের জন্য আমরা প্রশস্ত ড্রেন নির্মাণ করে তারপর রাস্তা নির্মাণ করছি। এতে একটু বেশি সময় লাগছে। জলাবদ্ধতা যেন না হয় সে জন্যই রাস্তা নির্মাণের পূর্বে প্রশস্ত ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। রাস্তা যদি ২০ ফুট প্রশস্ত না হয় সেখানে সিটি করপোরেশন কোনো কাজ করবে না।
মো. আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা আমাদের শিশুদের মশার বিরুদ্ধে সুপার হিরো বানাতে চাই। শিশুরা যদি মশার বিষয়ে জানতে পারে এবং কামড় থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারে, তবে অনেকাংশেই আমরা মশাবাহিত রোগ রুখতে পারব। আমাদের ছাপানো আর্ট বুকটির মাধ্যমে শিশুরা মশার প্রজননস্থল ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে পারবে। শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘মশার কামড় ক্ষতিকর’ শীর্ষক সচেতনতামূলক কার্টুন বই কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ঢাকা উত্তরের সব কিন্ডারগার্টেন ও প্রাইমারি স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হবে। এক লাখ বই বিতরণ শেষ হলে আমরা আরও পাঁচ লাখ বই ছাপিয়ে শিশুদের মাঝে বিতরণ করব।