কলকাতা থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। হাইকোর্টকে এ তথ্য লিখিতভাবে জানিয়েছেন তার আইনজীবী মনসুরুল হক। গেলো ২৪ জুলাই তিনি দেশে ফেরেন।
বুধবার (২ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবার কথা রয়েছে।
এর আগে ১৫ জুলাই রিট শুনানির একদিন আগে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে চলে যান সম্রাট। তার আইনজীবী জানান, চিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতি নিয়েই কলকাতা গিয়েছেন তিনি।
গেলো ১ জুন ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল আলম সম্রাটকে দুই মাসের জন্য পাসপোর্ট নিজ জিম্মায় দিয়ে চিকিৎসা করাতে একমাসের জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেন। তবে আপিল বিভাগের রায় ফলো না করেই তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে রিট দায়ের করা হয়। রিটের শুনানি গত ১৬ জুলাই হবার কথা ছিল। কিন্তু তার আগের রাতেই দেশত্যাগ করেন সম্রাট।
এর আগে গেলো বছরের ২২ অক্টোবর সম্রাট স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী স্থায়ী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন বহাল রাখেন।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তাতে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
গেলো বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ১১ মের মধ্যে চার মামলায় জামিন পান সম্রাট। কারাগারে যাওয়ার ৩১ মাস পর মুক্তি মেলে তার।