মাছ-মাংসের দাম বাড়ায় বাধ্য হয়ে ডিম খাচ্ছেন সল্প আয়ের মানুষ। কিন্তু এবার ডিমের দামও নাগালের বাইরে। এক পিস ডিমের দাম ১৫ টাকা। এক হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহেও যা ছিল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা ডজন। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।
আগুন লেগেছে চাল-পেঁয়াজ-রসুনের দামেও। সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে দুই টাকা। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি। রসুনের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা আমদানি ও সরবরাহ কমার অজুহাত দিয়ে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে এসেছে চরম বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইজম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৭ টাকা কেজিতে। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৫ টাকা কেজি। নিম্নআয়ের মানুষের খাবারের আরেকটি চাল হলো বিআর-২৮। এই চাল গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫৮ টাকা কেজিতে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। শুধু এই দুই ধরনের চালই নয়, কম বেশি সব চালের দাম বেড়েছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, রাজধানীতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি; যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। যা এক সপ্তাহে আগেও ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। আমদানি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে। গাজর ১৪০ টাকা কেজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, কাঁকরোল ৬০ টাকা, পটল বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে, আলু ৪০ টাকা,ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূলা ৫০ টাকা কেজি, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৫০ টাকা, শিম ২০০ টাকা কেজি, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা থেকে কমে ৬০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১৬০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি ৬০ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।