ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি এগিয়ে আনলেন আপিল বিভাগ। আজ শুনানির দিন ধার্য থাকলেও সিরিয়াল ১২০০ এর পর রয়েছে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগে দ্রুত শুনানির আবেদন করেন আইনজীবী মহসিন রশীদ।
এসময় তিনি আপিল বিভাগকে বলেন এখন সিরিয়াল রয়েছে ১২০০ এর পর। এভাবে চললে ১-২ বছরের শুনানি হবেনা। “এটি সিরিয়াস ম্যাটার।” এ কারণেই দ্রুত শুনানির আবেদন করেন তিনি।
পরে আপিল বিভাগে ২০০ পরে সিরিয়াল নামিয়ে দেন।
মেয়র তাপসের দেয়া এক বক্তব্যকে আদালত অবমাননাকর উল্লেখ করে তাকে সর্বোচ্চ আদালতে তলবের নির্দেশনা চেয়ে জুন মাসে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহ আহমদ বাদল একটি আবেদন করেন।
বিষয়টি কার্যতালিকায় এলে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত আবেদনটি আগামী ১৪ আগস্ট প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।
আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদনটি আজ আদালতে উপস্থাপন করেন সিনিয়র আইনজীবী মহসিন রশীদ।
গত ২১ মে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের দেয়া এক বক্তব্য ২৪ মে প্রধান বিচারপতির নজরে আনেন বিশিষ্ট সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। ওইদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম মেয়র তাপসের বক্তব্য নিয়ে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত পত্রিকার প্রতিবেদন পড়ে শোনান। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে শেখ ফজলে নূর তাপসের দেয়া সে বক্তব্য তুলে ধরে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম আদালতে বলেন, ‘তিনি বলেছেন, মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। যেখানে মুগুর দেয়ার সেটাও জানি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামান (বারের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান)কে আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেস্তা আসছে! সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান! যে সকল সুশীলরা আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন, সেই সকল সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেবো…..।’
ওইদিন একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামকে বলেন, ’ঠিক আছে। আমরা পত্রিকার প্রতিবেদনটা পড়ি, দেখি।