সৌদি ক্লাবের যোগ দেওয়ার শুধু যে আনুষ্ঠানিকতা টুকু বাকি ছিল গতকাল মঙ্গলবার নেইমার নিজেকে আল হিলালি দাবি করে তাও সারলেন। ক্লাবের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘আমি সৌদি আরবে আছি। আমি আল হিলালি।’
সৌদিতে পাড়ি জমানো এই ব্রাজিলিয়ান তারকা যেমন জীবনধারায় বিশ্বাসী সেই অনুযায়ী সৌদি আরবের জীবনব্যবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরুর দিকে একটু কষ্টই হতে পারে। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে, সৌদি আরবে গিয়ে যেসব নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বেন নেইমার।
নেইমারের জীবনধারা বলতেই শুরুতে চলে আসে নৈশ পার্টির প্রসঙ্গ। বার্সেলোনা কিংবা পিএসজিতে থাকতে নেইমার তার পার্টি প্রীতি জন্য নানা সময়ে বিভিন্ন ভাবে আলোচিত সমালোচিত হয়েছিলেন। সৌদি আরবে এমন পার্টির আয়োজন করা তাঁর জন্য কঠিন হবে। কারণ, দেশটিতে মদ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
সৌদির আইন অনুযায়ী, মদ উৎপাদন, বিতরণ ও পান করা নিষিদ্ধ। অমুসলিমদের জন্যও সেখানে মদ্যপান নিষিদ্ধ এবং অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় নিজের কাছে রাখা ও ব্যবহার করাও অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় সৌদি আরবে। আর এ নিয়ম দেশটিতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের জন্যও খাটে।
নেইমার সমুদ্র সৈকত ভীষণ পছন্দ করেন সেটাও হয়তো অনেকেই জানে। ছুটি পেলেই ব্রাজিলে ফিরে সমুদ্রসৈকতে প্রেমিকা ব্রুনা বিয়ানকার্দিকে নিয়ে সময় কাটিয়েছেন। কিছুদিন আগে সৈকতে অন্তঃসত্ত্বা ব্রুনার বেবি বাম্পের ছবিও প্রকাশ করেছিল এ জুটি। সৌদি আরব লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগর তীরবর্তী দেশ। দৃষ্টিনন্দন সৈকত আছে সেখানে।
তবে নেইমার সেই সৈকতে এমন কিছু করতে হলে সবার আগে তাঁকে সৈকতে ব্যক্তিগত জায়গা নিয়ে রাখতে হবে। সৌদি আরবে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত সৈকতে এমন কিছু করা নিষিদ্ধ হলেও টাকার বিনিময়ে সৈকতে ব্যক্তিগত জায়গা নিয়ে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা যায়।
নেইমার খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী। তবে সৌদি আরবে খ্রিষ্টধর্ম পালনে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এর আগে আল নাসরের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো গোল করে বুকে ক্রস এঁকেছেন। তখন এ নিয়ে কোনো বিতর্ক হয়নি।