কক্সবাজারে আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুদ্দিনকে হত্যা করতে ১৭ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। তার দেহে ছুরিকাঘাতে জখমের এসব চিহ্ন পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল আটক হওয়া কিশোর সাইফুল। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এসব উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল সানমুনের দ্বিতীয় তলার ২০৮ নম্বর কক্ষ থেকে দুই হাত বাঁধা অবস্থায় সাইফুদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হোটেলটির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাদা পাঞ্জাবি ও মাস্ক পরিহিত এক কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে হোটেলটিতে গিয়েছিলেন তিনি। রাত ৮টা ১০ মিনিটের পর ওই কিশোর চলে যান। এর পরই সংশ্লিষ্টরা যুবকের পরিচয় জানতে উদগ্রীব হয়ে পড়েন। তাকে শনাক্ত করতে জোর তৎপরতা শুরু করে পুলিশও। সোমবার মধ্যরাতে শহরের পাহাড়তলী থেকে ওই কিশোরকে আটক করা হয়।
আটক কিশোরের নাম আশরাফুল ইসলাম। সে কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী ইসলামপুর এলাকার মোহাম্মদ হাশেম মাঝির ছেলে। ওই এলাকার ওয়ামি একাডেমি নামে একটি মাদ্রাসার ছাত্র সে।
সাইফুদ্দিন কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত আনসার কমান্ডার আবুল বশরের ছেলে। তিনি কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হোটেল থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িতকে পুলিশ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় ওই ব্যক্তির অবস্থান নিশ্চিত হয়। পরে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অস্থায়ী তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। সেখানে টেকনাফমুখী একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে আশরাফুলকে আটক করা হয়।
এসপি মাহফুজুল ইসলাম জানান, সাইফুদ্দিন ও আশরাফুল আবাসিক হোটেলটির কক্ষে একসঙ্গেই গিয়েছিলেন। প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর আশরাফুল কক্ষ থেকে বের হয়ে সাইফুদ্দিনের মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা স্বীকার করেছেন। সাইফুদ্দিনের মোটরসাইকেল, হত্যায় ব্যবহৃত অন্যান্য আলামতও পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।