জামায়াতে ইসলামীর সভা-সমাবেশসহ সব রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদনটির শুনানির জন্য আগামী ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
তরীকত ফেডারেশনের নেতা রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজনের আবেদনে এক দশক আগে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছিল হাইকোর্ট। তারপর থেকে জামায়াত দলীয় পরিচয়-প্রতীক নিয়ে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না।
হাইকোর্টের দেয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াত। সেই আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
বিচারাধীন এ আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী যেন সভা-সমাবেশ, মিছিলসহ কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে না পারে, সেই বিষয়ে এ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গেলো ২৬ জুন আপিল বিভাগে এ নতুন আবেদন করা হয়।
এছাড়া আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সমাবেশ করে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আলাদা একটি আবেদন করেন রেজাউল হক চাঁদপুরী। তার পক্ষে আবেদন দুটি করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দলটিকে নিষিদ্ধেরও দাবি আছে বিভিন্ন মহলের। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিচার ও দণ্ড কার্যকর করাসহ সার্বিক প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামীর স্বাভাবিক কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।
জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে সবশেষ ঢাকার মতিঝিলে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তারা বিক্ষোভ মিছিল করেছিল। সে হিসেবে ১০ বছরের বেশি সময় পর গেলো ১০ জুন রাজধানীতে সমাবেশ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। সমাবেশ করেছে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত দলটি।
জামায়াতের পক্ষ থেকে দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো, ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয় ওই সমাবেশে।