নিউজিল্যান্ডে ৮.১ মাত্রার ভূমিকম্পের পর জারি করা সুনামি সতর্কতা তুলে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে পরপর তিনটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রতিটি ভূমিকম্পের মাত্রাই রিখটার স্কেলে সাত মাত্রার ওপর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, প্রথমে গিসবার্ন থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর ৭.৪ ও ৮.১ মাত্রার দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয় কারমাডেক আইল্যান্ডে। এছাড়াও নিউজিল্যান্ড উপকূলে অনুভূত হয় ৫ থেকে ৬ মাত্রার আরও অন্তত ৩৯টি ভূকম্পন।
সর্বোচ্চ ৮.১ মাত্রায় ভূমিকম্পের কারণে নর্থ আইল্যান্ড উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়। পরে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পর সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে, পূর্ব উপকূলে এখনও জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ক্ষতি বা হতাহতের খবর মেলেনি। তবে সতর্কতা ও ভূমিকম্পের খবরে দ্রুত উঁচু এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার সময় কয়েকটি শহরের বাসিন্দাদের হুড়োহুড়িতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, সবচেয়ে ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা কেটে গেছে। স্থানীয়রা নিজ বাড়িতে ফিরছে। তবে, সৈকত এড়িয়ে চলার নির্দেশ বহাল রয়েছে। নিউ ক্যালেডোনিয়া ও ভানুয়াতুতেও বিপজ্জনক ঢেউয়ের সতর্কতা জারি ছিল। এই দেশ দুটির উপকূলে ১০ ফুট উচূঁ ঢেউ দেখা গেছে। দক্ষিণ আমেরিকার পেরু, ইকুয়েডর ও চিলিতে উপকূলে পৌঁছেছে এক মিটার ঢেউ।
টুইট বার্তায় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন বলেছেন, আশা করছি সেখানকার মানুষ ঠিক আছে।
গেল সপ্তাহে ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ ভূমিকম্পের এক দশক পার করেছে নিউজিল্যান্ড। ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে শহরটির বিভিন্ন স্থানে বহু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মারা যায় অন্তত ১৮৫ জন।
এসএন