ভারতের সংগ্রহে ৮১ রান, ৩ উইকেট হারিয়ে। এদিকে ২৭৭ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামা দলটির লিড দাঁড়িয়েছে ৩০৮ রান। এর আগে বাংলাদেশ দল নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হয়।
বাংলাদেশকে ফলো-অন করানোর সুযোগ ছিল ভারতের। তবে তা না করিয়ে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে নিতে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিক দল। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা এ ইনিংসেও ব্যর্থ হলেন। তাসকিন আহমেদের ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ৫ রানে বিদায় নেন তিনি।
এরপর যশস্বী জয়সোওয়ালকে ফিরিয়েছেন নাহিদ রানা এর আগের ইনিংসেও জয়সোওয়ালের উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই ইনিংসে জয়সোওয়ালের ব্যাটে আসে কেবল ১০ রান।
ভিরাট কোহলি ও শুবমান গিল দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। একসময় মনে হচ্ছিল ২ উইকেটেই দিন শেষ করবে ভারত। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ১৭ রানে বিদায় নেন কোহলি।
দিনের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত আছেন শুবমান গিল ৩৩ রানে, রিশাব পান্ট ১২ রানে।
এর আগে ভারতের পক্ষে বল হাতে জাসপ্রীত বুমরাহ একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দ্বীপ ও রবীন্দ্র জাদেজা নিয়েছেন ২ টি করে উইকেট।
বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের তেমন কোনো সুযোগ দেয়নি ভারতের বোলাররা। একেবারে দিশেহারা করে দিয়ে তুলে নিয়েছেন একের পর এক উইকেট। কেবলমাত্র সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের জুটি কিছুটা দীর্ঘ হয়েছে। বাকিরা ক্রিজে টিকে থাকার তেমন কোনো সুযোগ পাননি।
শুরুতেই জাসপ্রীত বুমরাহর আঘাত এসেছে বাংলাদেশ শিবিরে। একইসাথে মোহাম্মদ সিরাজ ও আকাশ দ্বীপ ছিলেন অন্যপ্রান্ত থেকে। দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের কাছ থেকেও চাপ এসেছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের কাছে।
বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে বুমরাহর ডেলিভারিতে ফিরেছেন সাদমান ইসলাম। মধ্যাহ্ন বিরতির আগের ওভারে পর পর দুই বলে জাকির হাসান ও মমিনুল হকের উইকেট তুলে নিয়েছেন আকাশ।
নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমও ফিরতে সময় নেননি। নাজমুলকে সিরাজ ও মুশফিককে ফিরিয়েছেন বুমরাহ।
বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং ধসের মুহূর্তে লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান হাল ধরেছিলেন। দুজনে মিলে ৫১ রানের জুটি গড়েছিলেন। এরপর প্রথমে লিটন, পরে সাকিব আউট হয়ে ফিরেছেন।
রবীন্দ্র জাদেজার ডেলিভারিতে সুইপ খেলার চেষ্টা করেন লিটন, উড়তে থাকা বলটি লুফে নেন বদলি ফিল্ডার ধ্রুব জুরেল। যে শট খেলার কোনো প্রয়োজন ছিল না, সেই শট খেলেই ২২ (৪২) রানে ফিরে যান লিটন।
জাদেজা এর পরের ওভার করতে এসে সাকিবকে ফিরিয়েছেন। যেখানে রিভার্স সুইপ খেলতে গেছেন সাকিব। আর ব্যাটে লেগে চলে যায় রিশাব পান্টের গ্লাভসে। ৬৪ বলে ৩২ রান করে ফিরেছেন এই ব্যাটার।
দলীয় ১১২ ও ১৩০ রানে ফিরেছেন হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ। দুজনকেই ফিরিয়েছেন বুমরাহ। একপ্রান্তে তখন মেহেদী হাসান মিরাজ আগলে ছিলেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন নাহিদ রানা। মিরাজ ও নাহিদ মিলে ১৯ রানের ছোট এক জুটি করেন। এরপর সিরাজের ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে ফিরে যান নাহিদ। তিনি ১১ রান যোগ করেন ব্যক্তিগত খাতায়।
অন্যপ্রান্তে মিরাজ ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এম এইচ//